এমপির পিএ’র নেতৃত্বে তিন ছেলের ওপর হামলা, বিচার চাইলেন বাবা

এখনই সময় :
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক সন্তানের বাম হাতের রগ কর্তন ও চোখের মারাত্মক ক্ষতি করা এবং অপর দুই ছেলেকে কুপিয়ে যখম করার ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তাদের পিতা।
সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কলাপাড়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার ধূলাসার ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান। এ সময় তার ছোট ভাই মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাবেক আহ্বায়ক মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মাহবুবুর রহমান বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় কাউয়ার চরে অবস্থিত আমার ঘের দখলে নিতে এমপি মহিব্বুরের পিএ তরিকুলের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রামদা, চাপাতি, লোহার রড নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় আমার সন্তানরা বাধা দিলে তাদের হত্যা চেষ্টা করে। এতে আমার বড় ছেলে নুর বাহাদুর এর বাম হাতের কবজিসহ রগ কেটে যায়। এরপর তার বাম চোখ নষ্ট করে দেওয়ার জন্য আঘাত করা হয়। চিকিৎসক তাকে কলাপাড়া থেকে বরিশাল ও বরিশাল থেকে ঢাকায় রেফার করেন। হামলার সময় সন্ত্রাসীরা মেঝ ছেলে জুয়েল ও ছোট ছেলে সোহেলকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তাদের দু’জনের বাম হাত ও পায়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাসীরা আমার ছোট ভাই হেলাল এর মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ঘটনার পর গুরুতর আহত ছেলেদের ও ভাইকে নিয়ে কলাপাড়া হাসপাতালের দিকে আসার পথে বাধা প্রদান করে এবং ফের তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা আমাকেও মারধর করে।
সংবাদ সম্মেলন শেষে আ’লীগ নেতা মাহবুব প্রধানমন্ত্রী, আ’লীগ নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছে এমপির পিএ তরিকুলসহ ঘটনার সাথে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দ্রুত বিচারের দাবি জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনার পর মহিপুর থানায় তরিকুলসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে শাহিন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যহত আছে।
এদিকে শনিবার দুপুরে কলাপাড়া রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এমপি মহিব্বুর রহমানকে নিয়ে অপপ্রচার ও পিএ তরিকুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ধূলাসার ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ইউনুস দালাল।