সাবেক ছাত্রলীগ নেত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় স্বামী আটক

এখনই সময় :
বরিশাল বিএম কলেজের ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী হেনা আক্তার পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এ ঘটনায় তার স্বামী ও ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী নিয়াজ মোর্শেদ সোহাগকে আটক করেছে পুলিশ। কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ জানিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহাগকে থানায় নেয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নেয়া হবে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা।
জানা গেছে, সোমবার রাত ২টার দিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় হেনা আক্তারের মৃত্যু হয়। হেনার মা লুত্ফা বিবি জানান চার বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করে হেনা। দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিলো কিন্তু হেনার রাগ ছিলো অনেকটাই বেশি। হেনার বোন আকলিমা জানান, বাচ্চার দুধ গরম করাকে কেন্দ্র করে তর্কের এক পর্যায়ে স্বামী সোহাগ হেনাকে থাপ্পড় মারে। এতে অভিমান করে হেনা রুমের দরজা আটকে ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর হেনার বোনের ছেলে ও স্বামী দরজা ভেঙ্গে হেনাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এর ঘন্টা দুয়েক পর হেনার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার জন্য স্বামী সোহাগ দায়ী নয় দাবী করে এর বিচার চান না হেনার স্বজনরা।
কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি নুরুল ইসলাম জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্তের জন্য মৃতের মরদেহ হাসপাতালের লাশ রাখা কক্ষে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে হেনা আত্মহনন করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানাগেছে।
চার বছর আগে বিয়ে করে সোহাগ ও হেনা। তাদের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। উভয় বিএম কলেজের শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন তারা। তত্কালীন সময় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সাথে সখ্যতায় ক্যাম্পাসে আধিপত্য গড়ে তোলে। সে সময়ে নানান কার্যকলাপে আলোচনা-সমালোচনা ওঠে তাদের নিয়ে।