কুমারী পরিচয়ে মিডিয়ায় অভিনয় করার নামে হাসি ঢাকায় এসে প্রতারক দেহ ব্যবসায়ী

এখনই সময় : মিডিয়ায় কাজ করার সখ,নায়িকা হবে এই মনের বাসনা নিয়ে স্বামী সন্তান ফেলে কুমারী পরিচয়ে জনৈক পরিচালক মাধ্যমে মিডিয়াপাড়ায় ঘোড়াঘুড়ি। এক সময় পরিচয় হয় পরিচালক হারুন অর রশিদের সাথে। তার সাথে পরিচয়ের পর একটি বিজ্ঞাপণের কাজও করেছেন। এক বছরে কোন অভিনয় বা বিজ্ঞাপণের কাজ না পেয়ে রুটি রুজি রোজগারে নেমে পরেন দেহ ব্যবসায়। এরই মাঝে দেহ বিক্রী করে কয়েক ব্যবসায়ীর থেকে টাকাও হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত কয়েকমাস পূর্বে জনৈক এক ব্যবসায়ী ও প্রোডিউসর এর সাথে পরিচয় হলে তাকে কস্টের কথা খুলে বলেন। মানবিক কারনে তিনি ওই নারীকে থাকার জন্য একটি ফ্লাট ও খাওয়া খরচার জন্য খরচা হবন করতেন । ওই ব্যবসায়ীকে মিথ্যে ও ভুলভাল বুজিয়ে এখন ফাসানোর পায়তারা । ওই নারীর নাম হারেসা ইয়াসমিন হাসি, পিতা মৃত হারুন অর রশিদ,গ্রাম মকসুদপুর উপজেলা বিরামপুর, জেলা দিনাজপুর, স্বামীর নাম সাইফুল ইসলাম । পাচ বছর বয়সী একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে, যা তিনি কখনো কাউকে বলতেন না। ব্যবসায়ীর সরলতার সুযোগ নিয়ে তাকে বিবাহ করার ফন্দি এটে একটি টিভি চ্যানেলের জনৈক রিপোর্টার ও দক্ষিনখান থানার অন্তর্গত তালতলা পুলিশ ফাড়ির এস আইকে নিয়ে মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করেন।
সহজ সরল ওই ব্যবসায়ীকে নিয়ে কয়েক দফা গোপন বৈঠক করে তার থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়ার ধান্দা করছেন। হাসির নামে পুলিশ রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকা-গাজীপুর মিলিয়ে তার প্রতারণা রয়েছে বিস্তর। তিনি জানান, পার্শ্ব নায়িকার কাজও করেছেন । থাকেন উত্তরার দক্ষিনখানে বাসা ভাড়া নিয়ে এ পেশা ও প্রতারণা চালিয়ে আসছেন। হাসির প্রতারণার কাহিনী নাটক কিংবা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। নিপুণ কৌশলে প্রতারণাকে তিনি নিয়ে গেছেন শিল্পের পর্যায়ে। পার্শ্ব নায়িকায় কাজ করার অভিজ্ঞতাকে পুঁজি করে দীর্ঘদিন বুনেছেন প্রতারণার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়েছেন অনেকেই । হাসি এ প্রতিবেদককে জানান, সাধ ছিল নায়িকা হওয়ার, স্বামী সন্তান রেখে ঢাকায় এসে কোন কুল করতে না পেরে একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে দেহ ব্যবসা ও প্রতারণা কে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছি।