আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পয়েন্ট চান জেমি ডে

এখনই সময় :
দুই বছরের আনুষ্ঠানিক চুক্তি হওয়ার পর জামাল ভুইয়াদের কোচ জেমি ডে গতকালই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানালেন মাঠে নামতে মুখিয়ে আছেন তিনি। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে পয়েন্টও পেতে চান।
ফিফা কাতার বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের ‘ই’ গ্রুপের অবশিষ্ট ম্যাচগুলোর সূচি প্রকাশ করেছে। আট ম্যাচের মধ্যে বাকি আছে চারটি। আগামী ৮ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম ম্যাচ।
গতকাল ইংল্যান্ড থেকে অনলাইন ভিডিওতে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন জেমি ডে। সেখানে নানা প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন ৪০ বছর বয়সি এই কোচ। আফগানিস্তান দল সম্পর্কে জেমি ডে বললেন, এই বিপক্ষের ব্যাপারে তার কোনো ধারণা নেই।
জেমি বললেন,‘সত্যি বলতে কি বর্তমান দল সম্পর্কে আসলেই আমার ধারণা নেই। আফগানদের কিছু খেলোয়াড় ইউরোপ-আমেরিকার আছে। সেই হিসেবে আমরা বলতে পারি, আগামী মাসের মধ্যে তারা মাঠের ফুটবলে ঢুকে যাবে। স্কোয়াডের বাকি অংশটা আমাদের মতোই, হয়তোবা আমরা যখন মাঠে নামব তখন তারাও খেলা অনুশীলন শুরু করবে।’
আফগানদের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ দেখছেন কি না? জেমির জবাব,‘র্যাংকিং অনুযায়ী বললে, গ্রুপের পাঁচ দলই আমাদের চেয়ে শক্তিশালী। ম্যাচগুলো হবে কঠিন, এর মধ্যেও আমাদের ইতিবাচক হয়ে মাঠে নামতে হবে। বিশেষ করে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে আমাদের চেষ্টা করতে হবে যেন কিছু পয়েন্ট নিয়ে শেষ করতে পারি। নেতিবাচক মানসিকতা ঝেড়ে আমাদের লড়াই করতে হবে মাঠে।’
করোনা ভাইরাসের কারণে মাঠে দর্শক থাকবে কি না শঙ্কা রয়েছে। যদি তাই হয় সুবিধা পাবে অতিথি দল। এই নিয়ে জেমি বললেন,‘ ফুটবল খেলায় নিজেদের ঘরের সমর্থকদের সমর্থন পাওয়াটা বড়ো ব্যাপার। বাংলাদেশে তিনটা হোম ম্যাচ থাকলেও স্বাগতিক দর্শকদের সুবিধা হয়তো আমরা পাব না। এরপরও নিজেদের মাঠে কিছু সুবিধা থাকে। এই সুযোগগুলো আমাদের ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে।’
খেলোয়াড়রা ঘরে বসা। কিভাবে কাটিয়ে উঠবে ? জেমি বললেন, তার জন্য ছয় থেকে আট সপ্তাহ যথেষ্ট, এটা বিশ্ব ফুটবলে স্বীকৃত প্রি-সিজন ট্রেনিংয়ের সময়। এর চেয়ে বেশি হলে খেলোয়াড়দের শারীরিক কিংবা মানসিকভাবে ক্ষতি হতে পারে। এই করোনাকালে প্র্যাকটিস ম্যাচের দল পাওয়া কঠিন, সেটা বুঝতে পারছি। খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের দরকার নেই, তাতে খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে পড়ার শঙ্কা থাকে। প্র্যাকটিস ম্যাচ না হলে নিজেদের মধ্যেই ভাগ হয়ে খেলতে হবে।